ক) বাংলাদেশ রেলওয়ে যে সমসত্ম সেবা প্রদান করে থাকে:-
* বাংলাদেশ রেলওয়ে নিজস্ব নেটওয়ার্ক এর মধ্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সেবা প্রদান করে।
খ) যে ভাবে সেবা প্রদান করেঃ-
* বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রী পরিবহনের জন্য আমত্মঃ নগর মেইল এক্সপ্রেস কমিউটার ও লোকাল ট্রেন ইত্যাদি ধরনের ট্রেন পরিচালনা করে। এছাড়া চাহিদা সাপেক্ষে মিলিটারী স্পেশাল, পিলগ্রিম স্পেশাল ইত্যাদি ট্রেন ও পরিচালনা করে।
আমত্মঃ নগর মেইল এক্র্প্রেস, কমি৬উটার ও লোকাল ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলওয়ে সময় সূচী প্রনয়ন করে সে মোতাবেক এ সমসত্ম ট্রেন পরিচালনার করে। সময় সূচী পত্র পত্রিকার মাধ্যমে প্রচার ছাড়া ও ষ্টেশনের টাইম টেবিল বোর্ড এ লিখিত থাকে।
ট্রেনের সময় সূচী ইন্টারনেটের সাহায্যে জানা যায়। ইন্টারনেটে রেলওয়ে ঠিকানা www.Railway.gov.bd
কোন গমত্মব্যে যাওয়ার জন্য কোন ট্রেনে, কোন শ্রেণীর ভাড়া কত, তা ষ্টেশনের ভাড়ার তালিকা থেকে জানা যায়। মেইল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে শীতাতপও প্রথম শ্রেনী এবং আমত্মঃনগর ট্রেনের সকল শ্রেণীর যাত্রীর জন্য আসন সংরক্ষনের ব্যবস্থা রয়েছে। আমত্মঃনগর ট্রেনের টিকিট ভ্রমনের ১০ দিন পূর্বে ক্রয় করা যায়।
প্রত্যেক ষ্টেশনে টিকিট বিক্রীর জন্য এক বা একাধিক কাউন্টার থাকে। রেলওয়ে আইনে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমনের জন্য জেল ও জরিমানার বিধান আছে।
যে ষ্টেশনে টিকিট বিক্রীর ব্যবস্থা নাই সে ষ্টেশনের যাত্রীগন ট্রেনের গার্ডের কাছ থেকে টিকিট কিনে রেলে ভ্রমন করতে পারেন।
একজন শীততাপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি , প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫০ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ /২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সংগে নিতে পারেন।
অতিরিক্ত মালামাল থাকলে এক জন যাত্রী মাশুল পরিশোধ সাপেক্ষে তা লাগেজ হিসেবে নিজ গমত্মব্য পর্যমত্ম নিতে পারেন। বড় বড় ষ্টেশন গুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
একজন যাত্রীর সংগে ৩ বছরের কম বয়সী শিশু বিনা ভাড়ায় ট্রেন ভ্রমন করতে পারবে। ৩ বছরের বেশী অথচ ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রী সকল শ্রেণীর দুই তৃতীয়াংশ ভা্ড়ায় রেল ভ্রমন করতে পারবে।
ছাত্র , বি এন সি সি , স্কাউট, গার্লস গাইড গন রেয়াতী ভাড়ায় রেল ভ্রমন করতে পারেন। এ ব্যাপারে প্রযোজ্য নিয়মাবলী নিকটস্থ ষ্টেশন থেকে জানা যাবে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীগন বিনা ভাড়ায় ২য় শ্রেণীতে এবং সনদ ধারী সকল প্রতিবন্ধী একজন সহগামী সহ ৫০% রেয়াতী ভাড়ায় আমত্মঃনগর শোভন ও সুলভ শ্রেণীতে ভ্রমন করতে পারবেন।
মালামাল পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক ধরনের ওয়াগন আছে। ব্যবসায়ীগন নিকটস্থ ষ্টেশন মাষ্টার অথবা গুডস সহকারীর নিকট থেকে মালামাল বোঝাইয়ের নিয়মাবলী ও ভাড়ার হার জেনে রেল যোগে মাল পরিবহনের সুযোগ নিতে পারেন।
রেল যোগে অধিক হারে মালামাল পরিবহনের জন্য রেলওয়ে ব্যবসায় বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ভিতরে সাইডিং সুবিধা দিয়ে থাকে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে মালামাল আমদানী ও ভারতে মালামাল রফতানীর জন্য বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে মালবাহী ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা আছে।
সেবা প্রদানের সময়সীমাঃ-
বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবা দিন রাত ২৪ ঘন্টাই কার্যকর থাকে। যাত্রী ও ব্যবসায়ী গন নিকটস্থ ষ্টেশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সেবা পেতে পারেন।
রেলওয়ের সেবা সাধারনতঃ ওয়ান টাইম হয়ে থাকে। তবে নিয়মিত ভ্রমনকারী যাত্রীগন মাসিক টিকিট সংগ্রহ করে রেলভ্রমন করতে পারেন। টিকিট সংগ্রহ করার পর থেকে গমত্মব্যে পৌছা পর্যমত্ম একজন যাত্রী রেল কর্তৃপক্ষের নিকট ওয়েটিং রুম , টয়লেট, হালকা খাবারের জন্য লোকাল, ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের নিশ্চয়তা, চলমত্ম ট্রেনে ভ্রমনের উপযুক্ত পরিবেশ, নিজের ও সংগের মালামালের নিরাপত্তা দাবী করতে পারেন। একই ভাবে একটি পন্যের মালিক ওতার বোঝাইকৃত পন্যের যথাযথ নিরাপত্তা দাবী করতে পারেন। যথাসময়ে সেবা না পেলে প্রতিকারের নিয়মাবলীঃ-
কোন ট্রেন বাতিল হলে অগ্রীম টিকিট ক্রয়কারী যাত্রীকে টিকিটের পূর্নমূল্য ফেরত দেয় হয়। কোন যাত্রী নিজ থেকে যাত্রা বাতিল করলে নির্দিষ্ট হারে ক্লার্কের চার্জ কর্তন সাপেক্ষে ভাড়ার টাকা ফেরত পেতে পারেন।
কোন যাত্রীর টিকিট বিক্রিত টিকিট অনুযায়ী আসনের ব্যবস্থা করা না গেলে তিনি নিজ ইচ্ছা মাফিক, খালি থাকা সাপেক্ষে উচ্চতর শ্রেণীতে টিকিট রূপামত্মর করে রেলে ভ্রমন করতে পারেন। নিম্নতর শ্রেণীতে ভ্রমন করলে ভাড়ার পার্থক্য বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা/ প্রধান বানিজ্যিক ব্যবস্থাপক দপ্তরে আবেদন করে ফেরত পেতে পারেন। প্রারম্ভিক ষ্টেশনে এরূপ ক্ষেত্রে যাত্রী ক্রয়কৃত টিকিট ফেরত দিয়ে পূর্ন ভাড়া ফেরত নিতে পারেন।
রেলওয়ের কারনে সংঘটিত দূর্ঘটনায় কোন যাত্রী আহত অথবা নিহত হলে রেলওয়ে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপুরন পাওয়া যাবে।
মালামালের ক্ষেত্রে ওজন, প্যাকিং ও গুনগত মান অক্ষুন্ন রাখার ব্যাপারে রেলওয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে। রেলওয়ের কারনে বুককৃত মালামাল খোয়া গেলে , নষ্ট হরেল প্রমান সাপেক্ষে বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা অথবা প্রধান বানিজ্যিক ব্যবস্থাপক দপ্তরে আবেদন করে ক্ষতিপুরন লাভের ব্যবস্থা আছে।
কোন মালামাল রেলওয়ের কারনে গমত্মব্যে পৌছানো না গেলে যে পযমত্ম পরিবহন করা হয়েছে সে পরিমান দুরত্বে ভাড়া রেখে অবশিষ্ট দুরত্বের ভাড়া ফেরত দেওয়ার বিধান আছে।
মালামাল পৌছানোর জন্য কোন সময়সীমা নাই। তবে যথাসম্ভব দ্রুত গমত্মব্যে পৌছানোর ব্যাপারে রেলওয়ে সব সময় সচেষ্ট থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস